গিটারের
প্রাথমিক পরিচিতি:
আমরা যে গিটার শিখতে চাই তা হলো অ্যাকুস্টিক স্প্যানিশ গিটার। আমাদের দেশে অনেকে হাওয়াইয়ান গিটারও শেখে তবে তা মূলত কেবল একক যন্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়; গান গাওয়ার সময় অনুষঙ্গ হিসাবে নয়। অ্যাকুস্টিক গিটারে তারের কম্পন গিটারের কাঠের বডিতে অনুরণন হয়ে শব্দের সৃষ্টি করে। অপর দিকে ইলেকট্রিক গিটারে (ব্যান্ডগুলো যা নিয়ত ব্যবহার করে) তারের কম্পন সরাসরি সেন্সরের মাধ্যমে প্রিঅ্যাম্প হয়ে অ্যাম্পলিফায়ারে যায়। এ ক্ষেত্রে গিটারের বডি কেবল সৌন্দর্যের জন্য। গিটার শেখার জন্য অ্যাকুস্টিক বেশী উপযোগী বলে আমরা ইলেকট্রিক গিটার নিয়ে কোন আলোচনা করব না এখানে।
যাই হোক, অ্যাকুস্টিক গিটারে যে অংশগুলো থাকে তা পাশের চিত্রে দেখানো হলো।
আমরা যে গিটার শিখতে চাই তা হলো অ্যাকুস্টিক স্প্যানিশ গিটার। আমাদের দেশে অনেকে হাওয়াইয়ান গিটারও শেখে তবে তা মূলত কেবল একক যন্ত্র হিসাবে ব্যবহৃত হয়; গান গাওয়ার সময় অনুষঙ্গ হিসাবে নয়। অ্যাকুস্টিক গিটারে তারের কম্পন গিটারের কাঠের বডিতে অনুরণন হয়ে শব্দের সৃষ্টি করে। অপর দিকে ইলেকট্রিক গিটারে (ব্যান্ডগুলো যা নিয়ত ব্যবহার করে) তারের কম্পন সরাসরি সেন্সরের মাধ্যমে প্রিঅ্যাম্প হয়ে অ্যাম্পলিফায়ারে যায়। এ ক্ষেত্রে গিটারের বডি কেবল সৌন্দর্যের জন্য। গিটার শেখার জন্য অ্যাকুস্টিক বেশী উপযোগী বলে আমরা ইলেকট্রিক গিটার নিয়ে কোন আলোচনা করব না এখানে।
যাই হোক, অ্যাকুস্টিক গিটারে যে অংশগুলো থাকে তা পাশের চিত্রে দেখানো হলো।
গিটার কেনা:
আমাদের দেশে গিটার কেনা নবীনদের জন্য ভীতিকর। তার প্রথম কারণ দোকানীরা গিটার একেবারে জানে না এমন খদ্দেরদের পাত্তা দিতে চায় না। দ্বিতীয়ত কিছুই না জানার কারনে, যেন তেন একটা গছিয়ে দেয় বা বেশী দাম রাখে। সে কারণে, প্রথম গিটার কেনার সময় গিটার কেউ ভাল জানে এমন কাউকে সাথে নেয়া জরুরী। ঢাকায় নিউমার্কেটে মেলোডি ও সুরমেলা ছাড়াও উত্তরার দিকে দুএকটি দোকান আছে। আমি প্রবাসী বলে সর্বশেষ খবর জানি না। বিদেশে যে কোন দোকানে একটু খোঁজ নিয়ে কিনলে ভাল গিটার কেনা যায়। ঢাকায় সবচেয়ে বেশী চলে মনে হয় গিভসান, তার পর সিগনেচার। একটু দামী কিনলে ফেন্ডার, ইয়ামাহা কেনা যেতে পারে। এসব ব্র্যান্ডের মধ্যেও আবার কম দামী বেশী দামী মডেল আছে।
ব্যাগ, পিক ও ক্যাপো:
গিটার কেনার সাথে সাথে তা বহন করা বা নিরাপদে রাখার জন্য একটা ব্যাগ খুব জরুরী। ব্যাগ শক্ত কাঠামো ও মোটা কাপড়ের হয়। শক্তগুলোর দাম বেশ বেশী হতে পারে, আর কাপড়ের ব্যাগ ২/৩শ টাকার মধ্যে পেয়ে যাওয়ার কথা। গিটার বাজানোর জন্য আমাদের কিছু পিক লাগবে। পিক আকারে ছোট বলে মাঝে মধ্যে হারায়, তাই একসাথে ৫/৬টা কিনে রাথা ভাল।
এত কিছু কেনার পর আমি সুপারিশ করব একটা ক্যাপো কিনতে। একটা ক্যাপো থাকলে গান গাওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। গিটার টিউন করার জন্য অনেকে টিউনার ব্যবহার করে। ডিজিটাল টিউনারের দাম সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। তবে আমরা টিউন নিজে নিজে করব বলে কোন টিউনারের দরকার নেই। খুব প্রয়োজন হলে বিশেষ সফটওয়ার নামাতে পারেন যা দিয়ে কম্পিউটারের সাহায্যে গিটার টিউন করা যায় (মাইক্রোফোন থাকতে হবে)। পাশে পিক ও ক্যাপোর ছবি দেয়া হলো।
গিটার টিউনিং:
গিটার বাজানোর আগে আমাদের টিউন করে নিতে হবে। প্রথম পাঠ বলে আমরা টিউন করাটা খুব সহজ করে শিখতে চাই। মোটামুটি টিউন করতে পারলে, পরের পাঠগুলো বুঝা সহজ হবে। যখন নোট ও স্কেল সম্পর্কে ভাল ধারণা হবে তখন আবার আমরা টিউনিংএর বিশদ জানব।
টিউন করা জন্য সবচেয়ে চিকন (১নং) তারকে মোটামুটিভাবে টান টান করুন। গিটারের মাথায় প্রতিটি তারকে টান দেবার বা ঢিল করার জন্য একটি করে টিউনিং কি আছে। একটা কিকে এদিক ওদিক ঘুরিয়ে দেখুন তার কি টান হচ্ছে না ঢিলা হচ্ছে। (সঠিকভাবে তার প্যাঁচানো থাকলে ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরালে ১, ২, ও ৩ নং তার টান হবে। ৪, ৫ ও ৬নং এর বেলায় উল্টো।) তার খুব বেশী টান হলে বাজাতে কষ্ট হবে, অতিরিক্ত টান হলে তা ছিঁড়ে যাবে। আর খুব ঢিলা হলে বাজানোই যাবে না। কতটা টান হলে তা চলনসই হবে তা বোঝার জন্য তারটিকে ফ্রেটবোর্ডের মাঝ বরাবর উপরের ২নং তারের দিকে ঠেলা দিন। আধা সেন্টিমিটারের মত সরাতে পারলে ধরে নেয়া হবে তারে টান ঠিক আছে। ১নং তার এখন টিউন হয়ে গেছে।
এবার দুনং তারের ৫নং ফ্রেটে আঙুল দিয়ে চাপ দিয়ে ধরে পিক দিয়ে একই সাথে ১নং ও ২নং তার বাজান। দুটো তারের শব্দ কি আলাদা করে শোনা যায়? সঠিক টিউন হলে দুতারে একই শব্দ শোনা যাবে। ঠিক না হলে একটা ঢেউয়ের মতো শব্দ শোনা যাবে। ২নং তারটিকে টান করে বা ঢিল করে দুটি তারের শব্দ এক করুন। এটি করার জন্য ৮/১০ বার বা তারও বেশী সংখ্যক বার চেষ্টা করতে হতে পারে। ১নং ও ২নং তার সমমেল হলে আমরা ৩নং তারে যাব।
৩নং তারের ৪নং ফ্রেটে আঙুল চেপে আগের মতো ২নং ৩নং তার একসাথে বাজাতে হবে। সমমেল না হওয়া পর্যন্ত ৩নং তারকে টান বা ঢিল করতে হবে।
৪নং তার টিউন করার জন্য, এর ৫নং ফ্রেটে আঙুল চেপে ৪নং ও ৩ নং তার একসাথে বাজাতে হবে। দুটি সমমেল হওয়া না পর্যন্ত ৪নং তারকে টান দিতে বা ঢিল করতে হবে।
একইভাবে ৫ নং ও ৬ নং তার টিউন করতে হবে। ৫নং তারের সময় ৫নং ফ্রেটে ধরে ৫ ও ৪নং তার বাজাতে হবে। ৬নং তারের সময় এর ৫নং ফ্রেটে আঙুল চেপে ৫নং তারের সাথে বাজাতে হবে।
একবার সব তার টিউন হয়ে গেলে আবার সবগুলো তারকে দেখে নিন ঠিক শোনাচ্ছে কি না। অর্থাৎ, ২ নং তারের ৫নং ফ্রেটে আঙুল চেপে ১নং তারের সাথে বাজান। ঠিক আছে মনে হলে, ৩নং তারের ৪নং ফ্রেটে আঙুল রেখে ২নং তারের সাথে বাজান; এভাবে সবগুলো দেখে নিন।
কর্ড হলো গিটারের একাধিক তার একসাথে বাজানো। বামহাতে আমরা ফ্রেটবোর্ডের বিভিন্ন অবস্থানে ধরে ডান হাতের পিক দিয়ে সবগুলো তার একসাথে বাজাব। কর্ডের গঠন, নাম ইত্যাদি পরে কোন এক পাঠে বিস্তারিত আলোচনা হবে। বাম হাতের কোন আঙুল দিয়ে কোন তার ধরতে হবে তা কর্ড চার্টের মাধ্যমে দেখানো হয়। সুবিধার জন্য বাম হাতের আঙুলগুলোকে সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা হয়। যেমন- তর্জনী ১, মধ্যমা ২, অনামিকা ৩ আর কনিষ্ঠা ৪। কর্ডচার্টে মূলত গিটারের ফ্রেটবোর্ডের যে অংশটুকুতে আঙুল থাকে তাই ছবির মাধ্যমে দেখানো হয়। ছবির উপরের দিককে গিটারের নেকের দিক ধরা হয়। আর ডানদিকের তারকে সবচেয়ে সরু বা ১নং তার ধরা হয়। অন্য কথায় গিটার বাজানোরত অবস্থায় সামনে থেকে ছবি তুললে যে রকম দেখাবে তাই কর্ডচার্টে দেখান হয়। নীচে A মেজর কর্ডের কর্ডচার্ট ও আঙুল ধরার পদ্ধতি দেখানো হলো।
ছবিতে x মানে তারটা বাজাতে হবে না, 0 আর মানে তারটা খোলা রেখে (কোন ফ্রেটে না ধরে) বাজাতে হবে। অনেক সময় ছবির পরিবর্তে খুব সংক্ষেপে ফ্রেট নাম্বার দিয়েও কর্ড বুঝানো হয়। যেমন, A মেজরকে x02220 দিয়ে প্রকাশ করা হয়। এর মানে হচ্ছে, বাম দিকের মানে ৬নং (সবচেয়ে মোটা) তারকে বাজাতে হবে না। ৫নং তারকে খোলা রাখতে হবে, ৪,৩, ও ২ নং তারের ২নং ফ্রেটে ধরতে হবে। ১নং তার খালি থাকবে। কোন তারে কোন আঙুল দিয়ে ধরবেন তা আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে। প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য কর্ডচার্ট খুবই কাজের। কর্ডগুলো একবার মুখস্থ হয়ে গেলে আর কর্ডচার্টের দরকার হবে না। পরের পাঠে আমরা কর্ড বাজাতে শেখব।
প্রাথমিক কিছু মেজর ও মাইনর কর্ড:
নীচে আরও কিছু প্রাথমিক কর্ডের চার্ট দেয়া হলো যেগুলো আমরা পরবর্তী পাঠে বাজানো শেখব। সুবিধার জন্য চার্টে আঙুলের অবস্থানও দেখানো হয়েছে।
ট্যাব বা ট্যাবুলচার:
কর্ড ছাড়াও গিটারের তারগুলোকে এককভাবে বাজানো যায়। কোন তারের কোন ফ্রেট কখন বাজাতে হবে তা দেখানোর জন্য ব্যবহৃত হয় ট্যাব। ট্যাবে ছয়টি দাগ বা লাইন থাকে যা গিটারে ছয়টি তারকে বুঝায়। সবচেয়ে উপরের তার গিটারের সবচেয়ে চিকন বা ১নং তারকে বোঝায়। আনুভুমিক দিককে সময় ধরা হয়। তার মানে, ট্যাবের বাম দিক থেকে শুরু করে বাজিয়ে ডান দিকে যেতে হয়। দাগের উপর সংখ্যাগুলো তারের ফ্রেট নাম্বার নির্দেশ করে যেখানে আঙুল ধরে বাজাতে হবে। কখনও কখনও একদম নীচের দাগের নীচে কোন আঙুল দিয়ে ধরতে হবে তাও বলে দেয়া হয়। যেমন, নীচের চিত্রে:
৪নং তারের ২নং ফ্রেটে বাজাতে হবে
২নং তারের ১নং ফ্রেটে বাজাতে হবে
৩নং তার খোলা বাজাতে হবে
১নং তার খোলা বাজাতে হবে
৫নং তারের ৩নং ফ্রেটে বাজাতে হবে
২নং তারের ১নং ফ্রেটে বাজাতে হবে
৪নং তারের ২নং ফ্রেটে বাজাতে হবে
১নং তার খোলা বাজাতে হবে
৫নং তারের ৩নং ফ্রেট ও ২নং তারের ১নং ফ্রেট একসাথে বাজাতে হবে
৩নং তার খোলা বাজাতে হবে
৪নং তারের ২নং ফ্রেটে বাজাতে হবে
ফাঁক দিতে হবে (কিছুই বাজাতে হবে না)
৫নং তারের ৩নং ফ্রেট ও ১নং তার খোলা রেখে একসাথে বাজাতে হবে
২নং তারের ১নং ফ্রেট বাজাতে হবে
৩নং তার খোলা বাজাতে হবে
ফাঁক দিতে হবে (কিছুই বাজাতে হবে না)
জুতমতো গিটার বাজাতে হলে প্রথম অবস্থায় টুল বা হাতল ছাড়া চেয়ারে মেরুদণ্ড সোজা করে বসার নিয়ম। এক সময় যখন আয়ত্বে চলে আসবে তখন নিজের সুবিধামতো বসলেই হলো। ডান হাটুর উপর গিটারের বডির উরের দিক রেখে বাম হাতে ফ্রেট বোর্ডের নিচ দিয়ে ধরতে হবে। ডান হাত পুরোপুরি মুক্ত থাকবে, আঙুলে থাকবে পিক। ফ্রেটবোর্ডের সামনের দিক, চোখের প্রায় সমান্তরালে থাকবে, শুধু একটু দেখতে পারলে হয় বাম হাতের আঙুলগুলো কোন ফ্রেটের কোন তারে বসছে।
পিক ধরা:
পিক তর্জনীর এক ধারে রেখে বুড়ো আঙুল দিয়ে চেপে ধরতে হবে। খুব শক্ত করে ধরার প্রয়োজন নেই, এমনভাবে ধরতে হবে যেন স্বাচ্ছন্দ বোধ হয়। পিক ধরতে প্রথমে সমস্যা হতে পারে, হাত ঘেমে যেতে পারে। খুব সমস্যা মনে হলো, পিক ছাড়াই শুধু আঙুল দিয়ে বাজাতে পারেন। উপরে ছবিতে পিক ধরার নিয়ম দেখানো হয়েছে। ভিডিওতে আরও সহজভাবে বোঝানো হয়েছে।
আঙুল:
আমাদের হাতের সব আঙুল সমানভাবে ব্যবহৃত হয় না বলে সব আঙুল সমানভাবে দক্ষ নয়। যেমন, তর্জনী বা মধ্যমাকে যত সহজে নড়াচড়া করা যায়, কনিষ্ঠ আঙুলকে তত সহজে যায় না। একক ভাবে অনামিকাকে নড়া চড়া আরো কঠিন মনে হতে পারে। গিটার বাজানোর জন্য বা হাতের এ চারটি আঙুলকে খুব দ্রুত আলাদাভাবে নড়াচড়ার দক্ষতা আনতে হবে। এটা কঠিন মনে হতে পারে, তবে অধ্যাবসায় রাখলে একসময় ঠিক হয়ে যাবে। আঙুলের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য নীচে কিছু অনুশীলনী দেয়া হলো।
কর্ড বাজানোর জন্য ছটি তারের বিশেষ বিশেষ তার বিশেষ ফ্রেটে আঙলের মাথা দিয়ে চেপে ধরতে হয়। চেপে ধরার বেলায় আঙুলের নখ খুবই অসুবিধাজনক। এ কারনে, বাম হাতের নথ ভালমতো কেটে নিতে হবে।
প্রথম কর্ড:
আমরা প্রথমে যে কর্ডটা ধরতে শেখব সেটা হলো ডি মেজর। ডি মেজর ধরার জন্য ১, ২ ও ৩নং তারের যথাক্রমে ২, ৩, ও ২ নং ফ্রেটে ধরতে হবে। কোন তার কোন আঙুলে ধরবেন সেটা ব্যক্তিগত পছন্দের। অধিকাংশ চিত্রের মতো করে ধরে। বুড়ো আঙুল দিয়ে গিটারের নেক শক্ত করে ধরতে হবে। উল্টোদিকের ছবিতে দেখুন।
আঙুলগুলোর মাথা যতটা সম্ভব
ধাতব বারের ঠিক পেছনে
রাখতে হবে। এতে আঙুলের
উপর কম চাপ পড়বে।
তারগুলো ধরা হলে, ডান
হাতে পিক দিয়ে নীচের
চারটি তার বাজান। ঠিকমতো
ধরা হলে সুন্দর শব্দ
বের হবে। ধরা সঠিক
না হলে, শব্দ ভোঁতা
বা মড়া শোনাবে, বা
সবগুলো তারের শব্দ শোনা
যাবে না। আরো পরিস্কার
ধারনার জন্য ভিডিও দেখুন।
আরো দুটি কর্ড:
ডি মেজর বাজাতে পারলে আমরা আরো দুটি কর্ড শিখব। প্রথমটি হলো এ মেজর, দ্বিতীয়টি ই মেজর। এ মেজর ধরার জন্য চিত্রের মতো করে ২, ৩, ও ৪ নং তারের ২নং ফ্রেটে ধরুন। কোন আঙুল দিয়ে ধরবেন, সেটা আপনার সুবিধামতো স্থির করুন। তর্জনী দিয়ে যা ধরেছি তা কেবল আঙুলে শক্তি যোগানোর জন্য। এবার ডান হাতের পিক দিয়ে ৬নং তার বাদ দিয়ে বাকী সবগুলো তার বাজান। শব্দ সুন্দর শোনালে কর্ড ধরা সঠিক হয়েছে মনে করতে পারেন।
ই মেজর কর্ড ধরার জন্য চিত্রের মতো করে ৩, ৪, ও ৫নং তারের যথাক্রমে ১, ২ ও ২ নং ফ্রেটে ধরুন। খেয়াল রাখবেন কনিষ্ঠ আঙুল যেন কোন তারের উপর না পড়ে। এবার ডান হাতের পিক দিয়ে সবগুলো তার বাজান।
অন্যান্য কর্ড:
ডি মেজর, ই মেজর ও এ মেজর কর্ড বাজাতে পারলে, আগের পাঠে দেয়া অন্যান্য কর্ডগুলোও বাজাতে চেষ্টা করুন। জি মেজর কর্ড ধরতে যদি খুব সমস্যা হয় তবে, কেবল নীচের ১ ও ২নং তার ধরুন (৫ ও ৬ নং ধরবেন না, বাজাবেনও না)।
কর্ড প্রগ্রেসন:
গান গাইবার সময় কণ্ঠ নিয়ত উচু ও নীচু কম্পাংকে আসা যাওয়া করে। গলার সাথে মিল রেখে গিটারেও ভিন্ন কর্ড বাজাতে হয়। গলার উঠানামাটা ব্যকরণবদ্ধ নিয়ম অনুসারে হয়। সে কারনে, গিটারের একটা কর্ডের পর আরেকটা নির্দিষ্ট কর্ড আসে। এক কর্ড থেকে বাজিয়ে বাজিয়ে অন্য কর্ডে যাওয়াকে কর্ড প্রগ্রেসন বলে। গানের ধরনের (রক, পপ, ব্লুজ ইত্যাদি) উপর নির্ভর করে কিছু সুনির্দিষ্ট কর্ড প্রগ্রেসন আছে। আমরা সেগুলো সম্পর্কে পরে কোন এক পাঠে জানব।
এ পর্যায়ে আমরা, কর্ড বাজিয়ে বাজিয়ে ডি মেজর, এ মেজর, ই মেজর আবার ডি মেজর এ ধারাটা শেখতে চাই। প্রথমে খুব ধীরে ধীরে ডি মেজর কর্ড বাজান। বাজাতে বাজাতে বাম হাতের আঙুলগুলোকে এ মেজর অবস্থানে নিয়ে যান। লক্ষ রাখবেন যেন ডান হাতের বাজানো বন্ধ না হয়। ব্যাপারটা ডান ও বাম হাতের সমন্বয়ের উপর নির্ভর করে। মাথায় এ ধরনের কাজের কোন অভিজ্ঞতা না থাকলে প্রথম দিকে একটু কঠিন লাগতে পারে। এ মেজর কিছুক্ষণ বাজিয়ে ই মেজরে যান। সবশেষে আবার ডি মেজরে যান। এভাবে যতক্ষণ সম্ভব করতে থাকুন।
এক কর্ড থেকে আরেক কর্ডে যাওয়ার সময়, পারতপক্ষে কমসংখ্যক আঙুল তুলবেন। যেমন, এ মেজর থেকে ই মেজরে যাওয়ার সময় তর্জনীকে তার থেকে না তুলে শুধু অনামিকা আর মধ্যমাকে উপরে তুলে দিন। আঙুলের স্থানান্তর যত কম হবে, গিটার তত দ্রুত বাজাতে পারবেন।
অবসর:
প্রথমবারেই ১ঘণ্টা ধরে বাজাতে পারবেন না। শুরুতে ৫/১০ মিনিট করে চালু রাখুন, আধঘণ্টা বিশ্রাম নিন, পরে আবার শুরু করুন। বাম হাতের আঙুল এ ধরনের কাজে অভ্যস্ত নয় বলে একটু ব্যথা করবে। আঙুলের মাথাগুলো একটু করে ফোস্কার মতো হবে। নিয়মিত বাজালে তা অনুভুতিহীন হয়ে শক্ত আকার নেবে। তখন আর ব্যথা লাগবে না। এ ব্যাপারে ধৈর্য ধরতে হবে।
অনুশীলনী:
১. বাম হাতের চারটি আঙুলকে খাড়া করে টেবিলের উপর রাখুন। এবার মধ্যমা ও কনিষ্ঠাকে টেবিলে যুক্ত রেখেই তর্জনী ও অনামিকাকে তুলতে চেষ্টা করুন। এখন তর্জনী ও অনামিকাকে আগের জায়গায় ফেরত নিয়ে এ দুটিকে টেবিলে যুক্ত রেখে মধ্যমা ও কনিষ্ঠ আঙুলকে তুলতে চেষ্টা করুন। নিয়মিত এ ব্যয়ামটি করলে আঙুলের পেশীগুলো দক্ষ হয়ে উঠবে। একই ব্যয়াম গিটারের ফ্রেট বোর্ডেও করতে পারেন। এর জন্য সুবিধামত চারটি ফ্রেট বেছে নিন। ভালো মতো বুঝার জন্য ভিডিও দেখুন।
২. ফ্রেট বোর্ডে সুবিধামতো একটা জায়গা বাছুন যেখানে বাম হাতের চারটি আঙুল পর পর চারটি ফ্রেটে রাখুন। নীচের তার থেকে শুরু করে এক একটা আঙুল এক একটা ফ্রেটে রেকে পিক দিয়ে ঐ তারটি বাজান। প্রথম তার শেষ করে দ্বিতীয় তারে যান, শেষ করে তৃতীয় তারে যান। শেষ তার থেকে আবার উল্টো ক্রমে নীচের তারে আসুন। আঙুলের জোড় বাড়ানোর জন্য এ কাজটি প্রতিদিন ১০/১৫ মিনিট ধরে করুন। প্রথম প্রথম ধীরে ধীরে করুন, পরে দ্রুততা বাড়াতে পারেন। অভ্যস্ত হয়ে গেলে ফ্রেটবোর্ডের মাথার দিকে, অর্থাৎ গিটারের নেকের দিকের চারটা ফ্রেট বেছে নিন।
আরো দুটি কর্ড:
ডি মেজর বাজাতে পারলে আমরা আরো দুটি কর্ড শিখব। প্রথমটি হলো এ মেজর, দ্বিতীয়টি ই মেজর। এ মেজর ধরার জন্য চিত্রের মতো করে ২, ৩, ও ৪ নং তারের ২নং ফ্রেটে ধরুন। কোন আঙুল দিয়ে ধরবেন, সেটা আপনার সুবিধামতো স্থির করুন। তর্জনী দিয়ে যা ধরেছি তা কেবল আঙুলে শক্তি যোগানোর জন্য। এবার ডান হাতের পিক দিয়ে ৬নং তার বাদ দিয়ে বাকী সবগুলো তার বাজান। শব্দ সুন্দর শোনালে কর্ড ধরা সঠিক হয়েছে মনে করতে পারেন।
ই মেজর কর্ড ধরার জন্য চিত্রের মতো করে ৩, ৪, ও ৫নং তারের যথাক্রমে ১, ২ ও ২ নং ফ্রেটে ধরুন। খেয়াল রাখবেন কনিষ্ঠ আঙুল যেন কোন তারের উপর না পড়ে। এবার ডান হাতের পিক দিয়ে সবগুলো তার বাজান।
অন্যান্য কর্ড:
ডি মেজর, ই মেজর ও এ মেজর কর্ড বাজাতে পারলে, আগের পাঠে দেয়া অন্যান্য কর্ডগুলোও বাজাতে চেষ্টা করুন। জি মেজর কর্ড ধরতে যদি খুব সমস্যা হয় তবে, কেবল নীচের ১ ও ২নং তার ধরুন (৫ ও ৬ নং ধরবেন না, বাজাবেনও না)।
কর্ড প্রগ্রেসন:
গান গাইবার সময় কণ্ঠ নিয়ত উচু ও নীচু কম্পাংকে আসা যাওয়া করে। গলার সাথে মিল রেখে গিটারেও ভিন্ন কর্ড বাজাতে হয়। গলার উঠানামাটা ব্যকরণবদ্ধ নিয়ম অনুসারে হয়। সে কারনে, গিটারের একটা কর্ডের পর আরেকটা নির্দিষ্ট কর্ড আসে। এক কর্ড থেকে বাজিয়ে বাজিয়ে অন্য কর্ডে যাওয়াকে কর্ড প্রগ্রেসন বলে। গানের ধরনের (রক, পপ, ব্লুজ ইত্যাদি) উপর নির্ভর করে কিছু সুনির্দিষ্ট কর্ড প্রগ্রেসন আছে। আমরা সেগুলো সম্পর্কে পরে কোন এক পাঠে জানব।
এ পর্যায়ে আমরা, কর্ড বাজিয়ে বাজিয়ে ডি মেজর, এ মেজর, ই মেজর আবার ডি মেজর এ ধারাটা শেখতে চাই। প্রথমে খুব ধীরে ধীরে ডি মেজর কর্ড বাজান। বাজাতে বাজাতে বাম হাতের আঙুলগুলোকে এ মেজর অবস্থানে নিয়ে যান। লক্ষ রাখবেন যেন ডান হাতের বাজানো বন্ধ না হয়। ব্যাপারটা ডান ও বাম হাতের সমন্বয়ের উপর নির্ভর করে। মাথায় এ ধরনের কাজের কোন অভিজ্ঞতা না থাকলে প্রথম দিকে একটু কঠিন লাগতে পারে। এ মেজর কিছুক্ষণ বাজিয়ে ই মেজরে যান। সবশেষে আবার ডি মেজরে যান। এভাবে যতক্ষণ সম্ভব করতে থাকুন।
এক কর্ড থেকে আরেক কর্ডে যাওয়ার সময়, পারতপক্ষে কমসংখ্যক আঙুল তুলবেন। যেমন, এ মেজর থেকে ই মেজরে যাওয়ার সময় তর্জনীকে তার থেকে না তুলে শুধু অনামিকা আর মধ্যমাকে উপরে তুলে দিন। আঙুলের স্থানান্তর যত কম হবে, গিটার তত দ্রুত বাজাতে পারবেন।
অবসর:
প্রথমবারেই ১ঘণ্টা ধরে বাজাতে পারবেন না। শুরুতে ৫/১০ মিনিট করে চালু রাখুন, আধঘণ্টা বিশ্রাম নিন, পরে আবার শুরু করুন। বাম হাতের আঙুল এ ধরনের কাজে অভ্যস্ত নয় বলে একটু ব্যথা করবে। আঙুলের মাথাগুলো একটু করে ফোস্কার মতো হবে। নিয়মিত বাজালে তা অনুভুতিহীন হয়ে শক্ত আকার নেবে। তখন আর ব্যথা লাগবে না। এ ব্যাপারে ধৈর্য ধরতে হবে।
অনুশীলনী:
১. বাম হাতের চারটি আঙুলকে খাড়া করে টেবিলের উপর রাখুন। এবার মধ্যমা ও কনিষ্ঠাকে টেবিলে যুক্ত রেখেই তর্জনী ও অনামিকাকে তুলতে চেষ্টা করুন। এখন তর্জনী ও অনামিকাকে আগের জায়গায় ফেরত নিয়ে এ দুটিকে টেবিলে যুক্ত রেখে মধ্যমা ও কনিষ্ঠ আঙুলকে তুলতে চেষ্টা করুন। নিয়মিত এ ব্যয়ামটি করলে আঙুলের পেশীগুলো দক্ষ হয়ে উঠবে। একই ব্যয়াম গিটারের ফ্রেট বোর্ডেও করতে পারেন। এর জন্য সুবিধামত চারটি ফ্রেট বেছে নিন। ভালো মতো বুঝার জন্য ভিডিও দেখুন।
২. ফ্রেট বোর্ডে সুবিধামতো একটা জায়গা বাছুন যেখানে বাম হাতের চারটি আঙুল পর পর চারটি ফ্রেটে রাখুন। নীচের তার থেকে শুরু করে এক একটা আঙুল এক একটা ফ্রেটে রেকে পিক দিয়ে ঐ তারটি বাজান। প্রথম তার শেষ করে দ্বিতীয় তারে যান, শেষ করে তৃতীয় তারে যান। শেষ তার থেকে আবার উল্টো ক্রমে নীচের তারে আসুন। আঙুলের জোড় বাড়ানোর জন্য এ কাজটি প্রতিদিন ১০/১৫ মিনিট ধরে করুন। প্রথম প্রথম ধীরে ধীরে করুন, পরে দ্রুততা বাড়াতে পারেন। অভ্যস্ত হয়ে গেলে ফ্রেটবোর্ডের মাথার দিকে, অর্থাৎ গিটারের নেকের দিকের চারটা ফ্রেট বেছে নিন।
কবিতার যেমন ছন্দ, গানের তেমন তাল। তাল ছাড়া গান হয় না। তাল হলো সময়ের সাথে গানের কথার চলমান ছন্দ। তাল গঠিত হয় মাত্রা ও ভাগ দিয়ে। যেমন আমাদের দেশীয় সংগীতের দাদরা তাল হয় ৬ মাত্রার যার দুটি ভাগ থাকে। মাত্রা হচ্ছে তালের ক্ষুদ্রতম একক। গানে তাল বাজানো হয়, তবলা বায়া বা ড্রামের সাহায্যে। অনেক সময় গিটারের কর্ড বাজিয়েও তাল বাজানো হয়। তালের প্রতিটি মাত্রায় তবলা/বায়া বা ড্রামের এক বা একাধিক বোল বাজানো হয়, অথবা ফাঁক দেয়া হয় (বাজানো হয় না)।
তাল প্রকাশ করার জন্য সুনির্দিষ্ট কোন সহজ চার্ট নেই। গিটারে বাজানোর সময় কীভাবে বাজাতে হবে তা অনেক সময় পিকের আপ বা ডাউন দিয়ে দেখানো হয়। যেমন, নীচের চিত্রে দেখানো দাদরা তালে প্রথম দু মাত্রায় পিক উপরে থেকে নীচে, এবং পরের মাত্রায় পিক নীচ থেকে উপরে বাজাতে হবে। দাদরাকে পশ্চিমা নিয়মে ওয়াল্টজ (Waltz) বলে, আর মাত্রাকে মেজার (Measure) এবং ভাগকে বার (Bar)। তাল রাখার জন্য অনেকে বাম বা ডান পায়ে মৃদু আঘাত করে। দেশীয় পদ্ধতিতে তুড়ি মেরে বা হাত তালি দিয়েও তাল শেখানো হয়।
পিক নীচ থেকে উপরে আর উপর থেকে নীচে বাজালে শব্দের কিছুটা ভিন্নতা হয়। তবলার ভাষায় এটাকে বলে বোল। উপর নীচ ছাড়াও অনেক সময় কাট করে বাজানো হয়। কাট করে বাজানোর পদ্ধিতটা হলো কর্ড বাজানোর পর পরই বাম হাতের আঙুলগুলো একটি তুলে ফেলা বা ঢিল করে দেয়া যাতে তারের শব্দগুলো মিইয়ে যায়। কাট বোঝানোর জন্য তীর চিহ্ণের উপর ক্রস চিহ্ন বা x দেয়া হয়। যেমন নীচের ছবিতে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় মাত্রায় কর্ড কাট করে বাজাতে হবে। কাট ঠিক কীভাবে করতে হবে তা জানার জন্য ভিডিও দেখুন।
কর্ড বাজানোর সময় তাল এবং বোলের উপর নির্ভর করে, একটা কর্ডের ব্যপ্তি আধ মাত্রা, এক মাত্রা, দেড় মাত্রা হতে পারে। আধ মাত্রা মানে, প্রতি মাত্রায় কর্ডটি দুবার বাজাতে হবে (বা আধমাত্রা বাজিয়ে আধমাত্রা ফাঁক দিতে হবে)। দেড় মাত্রা মানে, একবার কর্ড বাজিয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ সময় অপেক্ষা করতে হবে। নীচে আধ মাত্রা ও দেড় মাত্রার উদাহরণ দেয়া হলো।
আরো কিছু রিদম:
এই রিদমগুলো আমরা বিভিন্ন কর্ডযোগে বাজাব।
কর্ড প্রগ্রেসন:
উপরের রিদমগুলো অনুশীলন করার সময় আমরা নীচের কর্ড প্রগ্রেসনগুলো বাজাব। প্রগ্রেসন হচ্ছে প্রতিটি কর্ড রিদম অনুসারে বাজিয়ে, তার পরেরটি বাজাব, এভাবে শেষটি বাজিয়ে আবার প্রথম কর্ডে আসব। কোন কর্ড কীভাবে ধরতে হবে তা আমরা বিগত পাঠে দেখেছি। লেখার সুবিধার্থে মেজর বোঝানোর জন্য আমার কর্ডের নামের সাথে কিছুই দিব না, আর মাইনর বোঝানোর জন্য m দেব।
তিন কর্ডের প্রগ্রেসন
১. C - E - G - C
২. D - Bm - A - D
৩. D - G - A - D
৪. D - Em - A - D
৫. A - D - E - A
৬. Am - Dm - E - Am
৭. G - C - D - G
৮. G - Bm - C - G
চার কর্ডের প্রগ্রেসন
১. C - Dm - Am - G - C
২. C - Am - Em - G - C
৩. C - Am - Dm - G - C
৪. C - E - Dm - G - C
৫. C - Em - Am - G - C
৬. G - Em - C - D - G
৭. G - E - A - D - G
৮. G - Am - Em - D - G
৯. G - Bm - Em - D - G
১০. G - Bm - C - D - G
বাড়তি
১. Em - G - Dm - Am - Em
২. D - Dm - C - G - D
৩. E - G - Am - C - E
ভিডিওতে আমরা সময়ের স্বল্পতার কারনে কেবল অল্প কয়েকটি প্রগ্রেসন হয়তো দেখাতে পারব। গিটারে দক্ষতা অর্জনের জন্য এই প্রগ্রেসনগুলো নিজে নিজে অভ্যাস করতে হবে। প্রথম অবস্থায় রিদম বাজানোর সময় ১ থেকে ৪ পর্যন্ত অভ্যাস করুন। স্বাচ্ছন্য বোধ করলে পরের রিদমগুলো আয়ত্ব করতে চেষ্টা করুন।
লয় বা টেম্পো:
একটি গানের তাল কত দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে তা নির্ভর করে লয়ের উপর। একই গান দ্রুত বা ধীর লয়ে গাওয়া যেতে পারে। আরো সহজ করে বললে, উপরে কর্ড প্রগ্রেসনে আমরা প্রতিটি কর্ড এক সেকেন্ড পর পর বাজাতে পারি, দ্রুত বাজাতে চাইলে আধা সেকেন্ড পর পর বাজাতে পারি। প্রাথমিক অবস্থায় আমাদের যে কোন কিছু ধীর লয়ে বাজিয়ে শিখতে হবে। আয়ত্বে চলে আসলে তখন দ্রুত লয়ে বাজানো কঠিন হবে না।
ডাউনলোড:
উপরে দেখানো রিদম ও কর্ড প্রগ্রেসনের ছাপার যোগ্য সংস্করণ: পিডিএফ ফরম্যাট, ওয়ার্ড ডক ফরম্যাট।
Hard
work
গিটার
বা যে কোন যন্ত্র
শিখতে হলে প্রথমেই নোট
কর্ড ও স্কেল সম্পর্কে
ধারণা থাকা প্রয়োজন। গান
গাইতে গেলেও এ ধারণাগুলো
থাকা দরকার। এ পাঠে
আমি সহজ কথায় এ
বিষয়গুলো বোঝানোর চেষ্টা করব।
নোট: আমরা সবাই জানি কোন জিনিশ কাঁপলে তা থেকে শব্দ তৈরী হয়। জিনিশটি কত দ্রুত কাঁপছে বা কম্পাংক কত (প্রতি সেকেন্ড কাঁপার হার) তার উপর নির্ভর করে শব্দটি কতটা তীক্ষ্ণ। প্রতিটি বাদ্যযন্ত্রেই কোন উপায়ে (আঘাত করে বা বায়ু প্রবেশ করিয়ে) শব্দ তৈরী করা হয়। নোট বা স্বর হচ্ছে একটি বিশেষ কম্পাংক (যা গুণীজনেরা আগে থেকে নির্ধারণ করে দিয়েছেন)। হারমোনিয়াম বা কিবোর্ডের প্রতিটি চাবিতে (বা রিডে) এক একটি নোট থাকে। গিটারে প্রতিটি তারের প্রতিটি ফ্রেটে একটি নোট থাকে।
সব কম্পাংককে মাত্র ১২ টি নোট দিয়ে প্রকাশ করা হয়। ১২ টি নোটকে আবার মনে রাখার সুবিধার জন্য ৭টি ইংরেজী অক্ষর দিয়ে প্রকাশ করা হয়। নোটের চেয়ে অক্ষরের সংখ্যা কম বলে বাড়তি নোটগুলোকে # (শার্প) ও b (ছোট হাতের বি এর মতো, কিন্তু বলা হয় ফ্ল্যাট) দিয়ে বোঝানো হয়। তার মানে বারোটি নোটের নাম হলো-
C, C# (বা Db), D, D# (বা Eb), E, F, F# (বা Gb), G, G# (বা Ab), A, A# (বা Bb), এবং B
প্রথাগতভাবে, কেবল C, C#, D, Eb, E, F, F#, G, G#, A, Bb ও B এই নামগুলি ব্যবহৃত হয়। B এর পরে আবার C থেকে শুরু হবে এবং চক্রাকারে চলতে থাকবে। তবে এ C এর কম্পাংক প্রথমটার দ্বিগুণ। B ও E এর কোন শার্প হয় না এবং C ও F এর কোন ফ্ল্যাট হয় না।
গিটারে যে কোন তারকে যদি আমরা C মনে করি, তবে তারটি খোলা বাজালে তা C নোট হবে। প্রথম ফ্রেটে আঙুল দিয়ে বাজালে তা C# হবে, দ্বিতীয় ফ্রেটে D, এভাবে .. ১২তম ফ্রেট (১৩তম বার) ধরে বাজালে আবার তা C হবে। দুটো C বাজালে অনেকটা একই রকম শোনা যাবে।
কিবোর্ডে যে কোন চাবিকে C ধরে পর পর বাজিয়ে গেলে (কালো সাদা সহ) তা হবে, C#, D, D#, E, .... । প্রথম থেকে ১৩তম চাবিতে গেলে আবার C পাওয়া যাবে। দুটো C কে একসাথে চেপে বাজালে অনেকটা একই রকম শোনা যাবে।
কর্ড: একাধিক নোটকে একসাথে বাজানোকে কর্ড বলে। গিটারে একাধিক তার একসাথে বাজিয়ে কর্ড বাজানো হয়। কিবোর্ডে একাধিক কি একসাথে চেপে ধরে কর্ড বাজানো হয়। কোন কোন কি এক সাথে বাজানো হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে কর্ডের বিভিন্ন নাম হয়। যেমন "C মেজর" কর্ড বাজানোর সময় C, E আর G নোটকে এক সাথে বাজানো হয়। "D মেজর" কর্ড বাজানোর সময় D, F# ও A নোটকে একসাথে বাজানো হয়। শুধু নোট বাজানোর চাইতে কর্ড বাজালে তা গলার সাথে ভাল মিলে যায় বলে গান শুনতে ভাল লাগে। কর্ড কীভাবে গঠন করা হয় ও কীভাবে বাজানো হয় তা আমরা পরে কোন এক পাঠে বিষদ জানব।
স্কেল: কোন গানে এই বারোটির সব নোটই যে বাজাতে হবে তার কোন কথা নেই। গানের ধরন বা উপযোগিতার উপর নির্ভর করে কেবল বিশেষ কিছু নোট ব্যবহৃত হয়। যেমন- "মেজর স্কেল" এর বেলায় কেবল C, D, E, F, G, A, B (C থেকে শুরু করলে) ব্যবহৃত হয়। স্কেল মেজর, মাইনর, পেন্টাটোনিক ইত্যাদি অনেক হতে পারে। পরে এসব নিয়ে আলোচনা হবে। শুধু এটুকু মনে রাখলে হবে যে, স্কেল হলো ১২ নোট থেকে বাছাই করা কিছু নোটের সংগ্রহ। এই বাছাই করার প্রক্রিয়াটা ভিন্ন ধরনের স্কেলের বেলায় ভিন্ন। বারটি নোটের সবগুলিকে নিয়ে যে স্কেল তাকে ক্রোমাটিক স্কেল বলে। স্কেল সম্পর্কে বিস্তারিত পরে জানব।
গানের কি: স্কেলের পাশাপাশি প্রতিটি গান বা কম্পোজিশনের একটা কি (key) ও থাকে। তবে সাধারণত কি আর স্কেল এক করে বলা হয়। যেমন, "সি মেজর স্কেল", "ডি মাইনর স্কেল"। লক্ষ্য করুন, নামগুলো একরকম শোনা গেলেও, কর্ড ও স্কেল কিন্তু এক বিষয় না।
স্কেল ও কির সম্পর্ক: প্রতিটি স্কেলের একটি শুরু নোট থাকে, সেটিই ওই স্কেলের কি। কোন একটা গান, বিশেষ যখন বাঁধা হয়, তখন তা গানের ধরন বা মর্জির বিচারে বিশেষ স্কেলের হয়। যেমন, অঞ্জন দত্তের বেলা বোস বা ২৪৪১১৩৯ গানটা মেজর স্কেলে গাওয়া। এখন, অঞ্জন দত্ত যখন গানটা গান, তখন তিনি ডি মেজর কর্ড থেকে শুরু করেন। অন্য কথায়, গানটা তিনি "ডি মেজর স্কেলে গান"। কারো গলা যদি অত মোটা না হয়, তাহলে সে হয়ত ঐ গানটা E বা F থেকে গাইবে। সেক্ষত্রে, আমরা বলব, তিনি গানটা E বা F মেজর স্কেলে গাচ্ছেন। মোটামুটিভাবে গানের প্রথম কর্ডটা থেকে গানের কি (key) হয়। তবে এটি কোন নিয়ম না। গানের কি (key) কী হবে তা নির্ভর করে গানটিতে কোন কর্ড বা নোটের প্রাধান্য আছে, সেটি যে গানের শুরু হবে তার কোন কথা নেই। গলার বা গায়কের পরিবর্তনের জন্য কির হেরফের ঘটে, কিন্তু স্কেল অপরিবর্তিত থাকে। যেমন, বেলাবোসকে কেউ মাইনর স্কেলে গাইতে পারবে না (মানে ঠিক মূল আবেদনটা থাকবে না)। কোন গানকে এক কি থেকে অন্য কিতে নেয়াকে ট্রান্সপোজিশন বলে। বাংলাকর্ড সাইটে যেসব কর্ড আছে তা যে কোন কিতে ট্রান্সপোজ করে নেয়া যায়। ট্রান্সপোজ করার জন্য কর্ড তালিকার নীচে, ট্রান্সপোজ লেখার পাশে "উপরে" বা "নীচে" লিংকে ক্লিক করতে হবে। যেমন- সিতে থাকা কোন গানকে ডি তে নিতে হলে দুই বার "উপরে" লিংকে ক্লিক করতে হবে।
নোট: আমরা সবাই জানি কোন জিনিশ কাঁপলে তা থেকে শব্দ তৈরী হয়। জিনিশটি কত দ্রুত কাঁপছে বা কম্পাংক কত (প্রতি সেকেন্ড কাঁপার হার) তার উপর নির্ভর করে শব্দটি কতটা তীক্ষ্ণ। প্রতিটি বাদ্যযন্ত্রেই কোন উপায়ে (আঘাত করে বা বায়ু প্রবেশ করিয়ে) শব্দ তৈরী করা হয়। নোট বা স্বর হচ্ছে একটি বিশেষ কম্পাংক (যা গুণীজনেরা আগে থেকে নির্ধারণ করে দিয়েছেন)। হারমোনিয়াম বা কিবোর্ডের প্রতিটি চাবিতে (বা রিডে) এক একটি নোট থাকে। গিটারে প্রতিটি তারের প্রতিটি ফ্রেটে একটি নোট থাকে।
সব কম্পাংককে মাত্র ১২ টি নোট দিয়ে প্রকাশ করা হয়। ১২ টি নোটকে আবার মনে রাখার সুবিধার জন্য ৭টি ইংরেজী অক্ষর দিয়ে প্রকাশ করা হয়। নোটের চেয়ে অক্ষরের সংখ্যা কম বলে বাড়তি নোটগুলোকে # (শার্প) ও b (ছোট হাতের বি এর মতো, কিন্তু বলা হয় ফ্ল্যাট) দিয়ে বোঝানো হয়। তার মানে বারোটি নোটের নাম হলো-
C, C# (বা Db), D, D# (বা Eb), E, F, F# (বা Gb), G, G# (বা Ab), A, A# (বা Bb), এবং B
প্রথাগতভাবে, কেবল C, C#, D, Eb, E, F, F#, G, G#, A, Bb ও B এই নামগুলি ব্যবহৃত হয়। B এর পরে আবার C থেকে শুরু হবে এবং চক্রাকারে চলতে থাকবে। তবে এ C এর কম্পাংক প্রথমটার দ্বিগুণ। B ও E এর কোন শার্প হয় না এবং C ও F এর কোন ফ্ল্যাট হয় না।
গিটারে যে কোন তারকে যদি আমরা C মনে করি, তবে তারটি খোলা বাজালে তা C নোট হবে। প্রথম ফ্রেটে আঙুল দিয়ে বাজালে তা C# হবে, দ্বিতীয় ফ্রেটে D, এভাবে .. ১২তম ফ্রেট (১৩তম বার) ধরে বাজালে আবার তা C হবে। দুটো C বাজালে অনেকটা একই রকম শোনা যাবে।
কিবোর্ডে যে কোন চাবিকে C ধরে পর পর বাজিয়ে গেলে (কালো সাদা সহ) তা হবে, C#, D, D#, E, .... । প্রথম থেকে ১৩তম চাবিতে গেলে আবার C পাওয়া যাবে। দুটো C কে একসাথে চেপে বাজালে অনেকটা একই রকম শোনা যাবে।
কর্ড: একাধিক নোটকে একসাথে বাজানোকে কর্ড বলে। গিটারে একাধিক তার একসাথে বাজিয়ে কর্ড বাজানো হয়। কিবোর্ডে একাধিক কি একসাথে চেপে ধরে কর্ড বাজানো হয়। কোন কোন কি এক সাথে বাজানো হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে কর্ডের বিভিন্ন নাম হয়। যেমন "C মেজর" কর্ড বাজানোর সময় C, E আর G নোটকে এক সাথে বাজানো হয়। "D মেজর" কর্ড বাজানোর সময় D, F# ও A নোটকে একসাথে বাজানো হয়। শুধু নোট বাজানোর চাইতে কর্ড বাজালে তা গলার সাথে ভাল মিলে যায় বলে গান শুনতে ভাল লাগে। কর্ড কীভাবে গঠন করা হয় ও কীভাবে বাজানো হয় তা আমরা পরে কোন এক পাঠে বিষদ জানব।
স্কেল: কোন গানে এই বারোটির সব নোটই যে বাজাতে হবে তার কোন কথা নেই। গানের ধরন বা উপযোগিতার উপর নির্ভর করে কেবল বিশেষ কিছু নোট ব্যবহৃত হয়। যেমন- "মেজর স্কেল" এর বেলায় কেবল C, D, E, F, G, A, B (C থেকে শুরু করলে) ব্যবহৃত হয়। স্কেল মেজর, মাইনর, পেন্টাটোনিক ইত্যাদি অনেক হতে পারে। পরে এসব নিয়ে আলোচনা হবে। শুধু এটুকু মনে রাখলে হবে যে, স্কেল হলো ১২ নোট থেকে বাছাই করা কিছু নোটের সংগ্রহ। এই বাছাই করার প্রক্রিয়াটা ভিন্ন ধরনের স্কেলের বেলায় ভিন্ন। বারটি নোটের সবগুলিকে নিয়ে যে স্কেল তাকে ক্রোমাটিক স্কেল বলে। স্কেল সম্পর্কে বিস্তারিত পরে জানব।
গানের কি: স্কেলের পাশাপাশি প্রতিটি গান বা কম্পোজিশনের একটা কি (key) ও থাকে। তবে সাধারণত কি আর স্কেল এক করে বলা হয়। যেমন, "সি মেজর স্কেল", "ডি মাইনর স্কেল"। লক্ষ্য করুন, নামগুলো একরকম শোনা গেলেও, কর্ড ও স্কেল কিন্তু এক বিষয় না।
স্কেল ও কির সম্পর্ক: প্রতিটি স্কেলের একটি শুরু নোট থাকে, সেটিই ওই স্কেলের কি। কোন একটা গান, বিশেষ যখন বাঁধা হয়, তখন তা গানের ধরন বা মর্জির বিচারে বিশেষ স্কেলের হয়। যেমন, অঞ্জন দত্তের বেলা বোস বা ২৪৪১১৩৯ গানটা মেজর স্কেলে গাওয়া। এখন, অঞ্জন দত্ত যখন গানটা গান, তখন তিনি ডি মেজর কর্ড থেকে শুরু করেন। অন্য কথায়, গানটা তিনি "ডি মেজর স্কেলে গান"। কারো গলা যদি অত মোটা না হয়, তাহলে সে হয়ত ঐ গানটা E বা F থেকে গাইবে। সেক্ষত্রে, আমরা বলব, তিনি গানটা E বা F মেজর স্কেলে গাচ্ছেন। মোটামুটিভাবে গানের প্রথম কর্ডটা থেকে গানের কি (key) হয়। তবে এটি কোন নিয়ম না। গানের কি (key) কী হবে তা নির্ভর করে গানটিতে কোন কর্ড বা নোটের প্রাধান্য আছে, সেটি যে গানের শুরু হবে তার কোন কথা নেই। গলার বা গায়কের পরিবর্তনের জন্য কির হেরফের ঘটে, কিন্তু স্কেল অপরিবর্তিত থাকে। যেমন, বেলাবোসকে কেউ মাইনর স্কেলে গাইতে পারবে না (মানে ঠিক মূল আবেদনটা থাকবে না)। কোন গানকে এক কি থেকে অন্য কিতে নেয়াকে ট্রান্সপোজিশন বলে। বাংলাকর্ড সাইটে যেসব কর্ড আছে তা যে কোন কিতে ট্রান্সপোজ করে নেয়া যায়। ট্রান্সপোজ করার জন্য কর্ড তালিকার নীচে, ট্রান্সপোজ লেখার পাশে "উপরে" বা "নীচে" লিংকে ক্লিক করতে হবে। যেমন- সিতে থাকা কোন গানকে ডি তে নিতে হলে দুই বার "উপরে" লিংকে ক্লিক করতে হবে।


















No comments:
Post a Comment